জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বটতলী এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে। ওই কিশোরীকে মঙ্গলবার জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার পরিবার। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযুক্ত যুবক সাগর হোসেন পাঁচবিবি উপজেলার দানেজপুর এলাকার মনোয়ার হোসেনের ছেলে ও পাঁচবিবি মহিপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, ৬-৭ বছর আগে তার বাবা-মার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তার মা ওমান চলে যায়। সেই থেকে সে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বামনগড় গ্রামে নানাবাড়িতে থেকে লেখাপড়া করছে। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী পূর্ব-বালিঘাটায় তারা খালা কল্পনা আখতারের বাসায় বেড়াতে গেলে সাগরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় দুই-তিনবার তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়।
কিছুদিন পর জানতে পারে সাগরের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া খালাতো বোনেরও সম্পর্ক ছিল। সেই থেকে সাগরকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিভিন্ন রকম অজুহাত দেখায়। এরই এক পর্যায় বিয়ের কথা বলে গত সোমবার তাকে পাঁচবিবিতে ডেকে আনে সাগর। ওই দিন সকালে পাঁচবিবিতে আসার পর সাগরের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সাগর যোগাযোগ না করায় সে সাগরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানায়।
এতে সাগর ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীকে সন্ধ্যায় তুলে নিয়ে গিয়ে বটতলী এলাকার একটি বাগানে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে রাতে তার খালার বাড়িতে এসে বিষয়টি খুলে বললে মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি থানা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান রেজা বলেন, খবর পেয়ে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে গেলে ওই কিশোরীকি ভর্তি অবস্থায় দেখতে পাই।
পাঁচবিবি থানা পুলিশের পরিদর্শক বজলার রহমান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তারা হাসপাতালে মেয়েটির খোঁজ খবর নিয়েছেন। তবে এখনও থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ