ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা ও নিরাপদে রাঙ্গুনিয়ার বৌদ্ধমঠে ফিরে যাওয়ার আবেদন জানানোর কারণে ফলাহারিয়া জ্ঞাণশরণ মহা অরণ্য বৌদ্ধ বিহারে মঠাধ্যক্ষ শরণাংক থেরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুইটি মামলা করা হয়েছে।
২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথিত কটুক্তি ও সারা দেশের ৩০ হাজার মানুষ শরনাঙ্কর থের’কে খোদা মানেন এমন ভিডিও প্রচারের অভিযোগে মাওলানা হাকিম উদ্দিন নামের এক উগ্রপন্থী রাঙ্গুনিয়া থানায় প্রথম মামলাটি করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ ও এরশাদ মাহমুদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত টিটু বড়ুয়া নামের এক ব্যক্তি একই থানায় দ্বিতীয় মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। টিটুর বাড়ি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলাম আইসিটি এ্যাক্ট ও দন্ড বিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দুটি রুজু করা হয়েছে বলে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দ্বিতীয় মামলায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদ মাহমুদসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিয়ে নানা ‘বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও বার্তা ছড়ানোর অভিযোগ’ আনা হয়েছে।
মামলার বাদী টিটু বড়ুয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কার্যক্রম ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে গত বুধবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া ২৪ মিনিটের ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি সম্পর্কে মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে শরণাংক থের বলেন, ‘কারও মানহানি হয়, এমন বক্তব্য আমি দিইনি। ধর্ম নিয়ে আমি কোনো কটূক্তি করিনি। ভিডিও বার্তায় আমি আমার তিন মাসের কষ্টের কথা জানিয়েছি। এ বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করে দেখতে পারে।’
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ফলাহারিয়া জ্ঞাণশরণ মহা অরণ্য বৌদ্ধ বিহারে হাসান মাহমুদের ভাই এরশাদ মাহমুদের ক্যাডাররা পুলিশের সহযোগিতায় হামলা করে। এর প্রতিবাদে শরণাংক থেরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করলে তিনি ইসলাম ধর্ম ও হযরত মুহাম্মদ সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন বলে গুঁজব ছড়িয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করা হয়। এরপর থেকে উগ্রবাদীদের হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।