ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে (১৫) একই মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর আরেক ছাত্র ইমাম হোসেন (১৮) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে স্থানীয় তিন যুবক কথিত প্রেমিককে বেধে ধর্ষণ করে ওই ছাত্রীকে।

 

শনিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় রোববার (১৫ মার্চ) দুপুরে বিজয়নগর থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের একটি দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। একই মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে পড়েন ইমাম নামে (১৮) নামে ওই কিশোর। একই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে গিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায় মাদ্রাসার অপ্রাপ্ত বয়সের ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শনিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে যায় দু’জন।

মোটরসাইকেলে করে তারা একই উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর এলাকায় যায়। সেখানে একটি নির্জন জঙ্গলে নিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে কিশোর ইমাম হোসেন। সে সময় মাদ্রাসা ছাত্রীকে জঙ্গলে রেখে পাশের সড়কে যায় ওই কিশোর। সেসময় স্থানীয় তিন বখাটে যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করে ছাত্রীকে তারা মারধর করে বিবস্ত্র অবস্থায় ছবি ধারণের পর জোর পূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন। পরে বখাটে যুবকেরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা প্রেমিক মাদ্রাসার ছাত্র ও ছাত্রীকে আটক করে প্রথমে উপজেলার চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করেন। পরে রাতে সেখান থেকে পুলিশ তাদের বিজয়নগর থানায় নিয়ে আসেন।

বর্তমানে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল পাঠানো হবে।

বিষ্ণুপুর ইউনিন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন জানান, এঘটনায় স্থানীয়রা মাদ্রাসার ছাত্র ও ছাত্রীকে উদ্ধারকরে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমিও ওই বাড়িতে উপস্থিত হই। এ বিষয়প প্রাথমিকভাবে কোনো পর্যায়ে যেতে না পারায় তাদেরকে পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়েছে।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, তারা দু’জনেই উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের একই গ্রামের বাসিন্দা। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ওই কিশোর মাদ্রাসায় পড়াশোনার পাশাপাশি এলাকায় ট্রাক্টর চালান।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৫ মার্চ রোববার দুপুরে ধর্ষিতার মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে(ধর্ষক) কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অপর তিন আসামী, ছতুরপুর গ্রামের ফয়সাল, মামুন ও ইউসুফ পলাতক রয়েছে। তাদেরকে শিগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।

সময় নিউজ টিভি

মন্তব্য করুন