ভোলার চরফ্যাশনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মেম্বার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে ফাঁকা ঘরে গৃহবধূকে একা পেয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মেম্বার প্রার্থীর দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।

 

১৪ জুন সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চরকলমী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত মান্নান ও খোকন গা-ঢাকা দিয়েছে।

১৫ জুন মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূ যুগান্তরকে জানান, তার স্বামী ও শ্বশুর চট্টগ্রামে গাড়ি চালানোর কাজ করেন। বাড়িতে শাশুড়ি, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া দেবর এবং তিনি থাকেন। চট্টগ্রাম থেকে আনজুরহাট বাজারের একটি বিকাশের দোকানে স্বামী-শ্বশুর টাকা পাঠিয়ে ছিলেন। ওই টাকা আনার জন্য শাশুড়ি আনজুরহাট বাজারে যান। ছোট দেবর ছয়েদকে নিয়ে তিনি ঘরের মধ্যে দুপুরের রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

তিনি বলেন, দুপুর ১২টার দিকে মেম্বার প্রার্থী মো. ইয়াছিনের তালাচাবি মার্কার পোস্টার এবং একটি হ্যান্ডমাইক নিয়ে মান্নান আমার ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। আমার ঘরের ভেতরে বাক্সের দেয়ালে তালাচাবি মার্কার একটি পোস্টার লাগায় এবং আমার কাছে এক গ্লাস পানি খেতে চায়। পাশাপাশি তার হাতে থাকা মাইকটি আমার ছোট দেবরের হাতে দিয়ে তা নিয়ে রাস্তায় যেতে বলেন।

তিনি বলেন, ছোট দেবর মাইক হাতে পেয়ে খুশিতে রাস্তায় চলে যায়। আমি এক গ্লাস পানি নিয়ে আসলে মান্নান আমাকে জাপটে ধরে মাটিতে শুইয়ে ফেলে এবং জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি ডাকচিৎকার দিতে চাইলে সে আমার গলাটিপে ধরে। পরে আমি ধস্তাধস্তি করে মান্নানের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে ভয়ে পাশের গ্রামে আমার বাবার বাড়িতে চলে যাই।

ওই গৃহবধূ বলেন, সেখানে গিয়ে চট্টগ্রামে অবস্থানরত আমার স্বামী ও শ্বশুরকে বিষয়টি অবহিত করি। খবর পেয়ে আমার স্বামী ও শ্বশুর মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

ভিকটিমের বৃদ্ধা শাশুড়ি জানান, আমার স্বামী ও ছেলে চট্টগ্রাম থেকে আসলে তারপর আমরা থানায় যাব এবং মামলা করব।

কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে মেম্বার প্রার্থী মো. ইয়াছিন জানান, এমন একটা ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার বিকালে আমি ভিকটিমের বাড়িতে যাই। বাড়িতে শাশুড়িকে পেলেও ভিকটিমকে পাইনি। শাশুড়ি আমাকে জানান- মান্নান তার পুত্রবধূর কানের জিনিস (গহনা) নিয়ে গেছে এবং নেওয়ার সময় গলাটিপে ধরেছে।

শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন