তরুণীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে ভোলার মনপুরা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে জিপু হাওলাদারের বিরুদ্ধে। ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় মামলা করেছেন ওই তরুণী। মামলা করার সময় ওই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে ঢাকায় পালিয়ে যান জিপু।

মনপুরা থানা পুলিশ ঢাকার টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিপুকে গ্রেফতার করে সোমবার সন্ধ্যায় মনপুরা থানায় নিয়ে আসেন বলে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশের এসআই লুৎফুর রহমান। মঙ্গলবার জিপুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামি জিপুর ভাই রুবেল হাওলাদারকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

১৮ আগস্ট উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেকের বাসিন্দা জিপু হাওলাদার ও তার ভাই রুবেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলা হলে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হন জিপু। পরে ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে মামলা তুলে নিতে ধর্ষণের ভিডিও  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন জিপু। এক পর্যায়ে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়েও দেন জিপু। এরপর জিপু বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন-এরকম একটি ভিডিও সাংবাদিকদের কাছে দেন ওই তরুণী।

মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন-মনপুরা থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকা থেকে জিপুকে গ্রেফতার করেছে। তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন