মনিরামপুরে গৃহবধূকে সন্তান ধারণের চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে পল্লি চিকিৎসক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাই ৯ অক্টোবর শনিবার রাতে বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগী দীন মোহাম্মদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

 

অভিযোগ রয়েছে, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মীমাংসার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হন স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ধর্ষক ও তার সহযোগীকে আটক করে পুলিশে দেয়। আটক পল্লি চিকিৎসক উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের কোদলাপাড়া গ্রামের ও দীন মোহাম্মদ বাগডোব গ্রামের বাসিন্দা।

গত সোমবার দুপুরে ইজিবাইকচালক (দালাল) দীন মোহাম্মদ এলাকার এক গৃহবধূকে গর্ভধারণের চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে রোহিতা বাজারে বিল্লালের চেম্বারে নিয়ে আসে। এরপর কৌশলে বিল্লাল হোসেন তাকে বাজারের পাশে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। এ সুযোগে বিল্লাল গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ওই সময় সামনেই ছিল দীন মোহাম্মদ। কিন্তু গৃহবধূর চিৎকার শুনেও তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি দীন মোহাম্মদ। বিষয়টি জানাজানি হলে বিল্লালকে রক্ষা করতে দু’পক্ষকে নিয়ে রোহিতা বাজারে মীমাংসার উদ্যোগ নেন ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম। তবে এতে ব্যর্থ হন তিনি। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী বিল্লাল ও তার সহযোগী দীন মোহাম্মদকে আটকের পর খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে। ওই রাতেই গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে থানায় বিল্লাল হোসেন ও দীন মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষ আমার কাছের লোক। তাই বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন কারণে সফল হইনি।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, আটক দু’জনকে রোববার আদালতে চালান দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধারের পর আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসায় ইউপি সদস্যের উদ্যোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এ ঘটনা তার জানা নেই বলে জানান ওসি।

সমকাল

মন্তব্য করুন