মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের এক নারী রাতভর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ এনে ওই নারী শ্রীপুর থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি মামলা না নিয়ে সারা দিন তাকে বসিয়ে রাখেন এবং উল্টো তার বিরুদ্ধেই মামলা ঠুকে দেয়ার ভয় দেখান বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

ওই নারীর দাবি, ২৮ জুন রাতে তার স্বামী পেশাগত কাজে ফরিদপুর জেলায় ছিলেন। শিশুসন্তানকে নিয়ে তিনি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় একই গ্রামের দিপুল নামে পরিচিত এক যুবক দরজায় কড়া নাড়লে তিনি দরজা খুলে দেন। কিন্তু দিপুল একই গ্রামের মাজেদুল ও আশরাফুল নামে আরও দুই যুবককে নিয়ে ঘরে ঢুকে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

শুধু তাই নয়, কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ধর্ষণকারী ওই তিন যুবক লকার ভেঙে জমির কাগজপত্র, কানের দুল এবং ব্যাংকের দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেকে অস্ত্রের মুখে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যায়।

সকালে ওই গৃহবধূ এ ঘটনায় মামলা করতে শ্রীপুর থানায় গেলে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান তাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসিয়ে রাখেন। এমনকি ডাক্তারি পরীক্ষার অনুরোধ জানালেও তিনি সেই ব্যবস্থা না করে ভয় দেখিয়ে তাকে থানা থেকে বের করে দেন।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই তিন যুবক ধর্ষণ করবে কেন? ওই নারীর সঙ্গে তার স্বামীর এক বন্ধুর সম্পর্ক আছে। যে ঘটনা জানতে পেরে ওই যুবকরা রাতে তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিল বলে শুনেছি। তবে ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে থানায় এলেও কোনো সত্যতা না পাওয়ায় মামলা নেয়া হয়নি।

ওই নারী ডাক্তারি পরীক্ষার কথা বললেও কেন করা হয়নি জানতে চাইলে ওসি বলেন, ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে থাকেন। তিনি ধর্ষণের শিকারই হননি। তাই পরীক্ষা করারও কোনো দরকার ছিল না।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন