চাঁদপুরের কচুয়ায় সপ্তাহকাল যাবত শিকলে বন্দী রয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন জোবায়ের হোসেন (২২) নামের এক যুবক। সে উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের চাংপুর গ্রামের আলী হাজির বাড়ির হতদরিদ্র দুলাল মিয়ার ছেলে। শিকলবন্দি থেকে তার হাত ও পায়ে পচন ধরেছে।
সরেজমিনে গেলে জোবায়েরের মা মাজেদা বেগম জানান, ছেলেটা পাগলামি করে, সবাইকে মারতে আসে। খাবার দিলে ফেলে দেয় কিছুই খায় না। তার আক্রমন ও উৎপাতে আমরা নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তাকে ৭/৮ দিন যাবৎ আম গাছের সাথে শিকলে বেঁধে রেখেছি। ছোটবেলায় তাকে চট্টগ্রামের চকবাজারে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়ার করতে দিলে এক শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাথায় আঘাত করলে তার মস্তিষ্কে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ওই সময় (৭/৮ বছর আগে) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়মিত চিকিৎসা করার পর প্রায় ৬ বছর আল্লাহর রহমতে ভালো থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পূনরায় পূর্বের ন্যায় পাগলামি শুরু করে। তার পাগলামির কারেণ বাড়িতে থাকাই দায়।
তিনি আরো বলেন, আমরা গরীব মানুষ, আমার স্বামী দিন মজুরের কাজ করেন। অসুস্থ, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। জমি জমা নাই। ছেলেকে আবার চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করার অর্থ-সামর্থ্য আমাদের নেই। বাধ্য হয়ে তাকে আম গাছের সাথে শিকলে বেধেঁ রেখেছি। কাটাচ্ছি নির্ঘূম রাত। এমনি নির্ঘূম রাত যে আর কত দিন কাটাবো-চিন্তায় অস্থির হয়ে উঠছি। এমনি অবস্থায় আমার ছেলের চিকিৎসায় সকলের সহযোগিতা চাই।