মানিকগঞ্জের ঘিওরে সাত বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অমানুষিকভাবে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পেটানোর ফলে শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে মো. মইন উদ্দিন নামের ওই শিশুটিকে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রের অভিভাবকসহ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শিশুটিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা গেছে।
উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া হিলফুল ফুযুল মাদরাসা ও এতিমখানায় গত সোমবার এই ঘটনাটি ঘটে। প্রতিষ্ঠানটি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড প্রাপ্ত। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনায় সারা ফেলেছে এলাকায়। এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র মো. মইন উদ্দিনকে পেটায় তার শিক্ষক আবু শাহমা।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সুজিত কুমার সরকার বলেন, শিশুটির শরীরের অনেক স্থানে আঘাতের চিহ্ন। ভর্তির সময় হালকা জ্বর আর ব্যাথা ছিল ওই শিশুটির। ঔষধ দেয়া হয়েছে। এখন সে স্বাভাবিক আছে। কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বলা যাবে বিস্তারিত।
ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাটি দুঃখজনক। শিক্ষকের অপরাধ প্রতিষ্ঠান বহন করবে না।
শিশুটির বাবা আবু মুসা বলেন, আমার শিশু ছেলেটাকে এমন অমানবিকভাবে মেরেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই শিক্ষককে মাদ্রাসায় পাওয়া যায় নি। তার মোবাইল ফোনে অনেক চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।
যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আহমেদ রাছেল বলেন, হিজুলিয়া হিলফুল ফুযুল মাদরাসার অনেক ঐতিহ্য আর পরিচিতি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার্থে আমরা ওই শিক্ষককে চাকুরিচ্যুতও করতে পারি। এলাকার লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।