মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অসুস্থ এক গৃহবধূকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। এঘটনায় গৃহবধূর স্বামী (২২) বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত কবিরাজ মবশ্বির আলীকে (৪৩) আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

 

১৪ মে ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের একটি গ্রামে এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মবশ্বিরের বাড়ি উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাদানগর গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই গৃহবধূ দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। মবশ্বির এলাকায় কবিরাজ হিসেবে পরিচিত। শুক্রবার ওই গৃহবধূর স্বামী কবিরাজ মবশ্বির আলীকে চিকিৎসার জন্য ডেকে বাড়িতে নিয়ে যান। একপর্যায়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে বিভিন্ন ছলছাতুরির মাধ্যমে ওই কবিরাজ গৃহবধূর স্বামী, শাশুড়িসহ সবাইকে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে ফেলেন। এর কিছুক্ষণ পর গৃহবধূর চিৎকার শুনে স্বজনেরা দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও মবশ্বির দরজা খোলেননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে গৃহবধূ বলেন তাঁকে ধর্ষণ করেছেন মবশ্বির। এসময় মবশ্বির পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটকে রাখেন। বিষয়টি পুলিশকে তাৎক্ষণিক জানালে ঘটনাস্থলে থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

ওই গৃহবধূকে রাতেই কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৌলভীবাজার জেলা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ওই গৃহবধূ চিকিৎসাধীন।

১৫ মে শনিবার বিকেলে গৃহবধূর স্বামী থানায় কবিরাজ মবশ্বির আলীকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।

কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় জানান, মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে সেখানে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে মবশ্বির ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন