ময়মনসিংহ সদরের খাগডহরের বাহাদুরপুরে মাদ্রাসার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মাদ্রাসার পক্ষে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে ১৫ মে শনিবার দুপুরে মাদ্রাসার মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনও সময় আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ কাটার প্রমাণ পেয়েছে।
অভিযোগ দায়ের করা ওই এলাকার বাসিন্দা কাইমুদ্দিন বলেন, ‘গত দুই মাস আগে আরিফুল উলুম কওমি মাদ্রাসার আগের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামালকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়ায় সাবেক সভাপতি মফিজুল ইসলাম গংরা মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা করার পায়তারা করে। এর চেষ্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দিনে-দুপুরে প্রথমে দুটি, পরে রাতের আঁধারে আরও দুটি গাছ কেটে ফেলে। এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হলেও সাবেক সভাপতি মফিজুল ইসলামের কারণে কোনও উন্নয়ন হয়নি। বরঞ্চ মাদ্রাসাকে ব্যবহার করে তারা অর্থ লুটপাট করেছে। মাদ্রাসার উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয় এলাকাবাসী একমত হয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামালকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠন করেছেন। এজন্য মফিজুল ইসলাম ও তার সহকর্মীরা গাছ কেটে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর জেরে এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’ দ্রুত ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন কাইমুদ্দিন।
স্থানীয় সাবেক মেম্বার বাদল মিয়া বলেন, ‘মফিজুল ও নুরনবী গংরা প্রকৃত পক্ষেই এলাকায় খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা মাদ্রাসাকে ব্যবহার করে ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ করেছে, কিন্তু দীর্ঘদিনেও মাদ্রাসার কোনও উন্নয়ন হয়নি। এবার নতুন কমিটি উন্নয়নে কাজ শুরু করায় মফিজুল গংরা এর পেছনে লেগে গাছ কেটেছে।’
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শ করে গাছ কেটে ফেলার প্রমাণ পেয়েছে। গাছ জব্দ করাসহ দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।