ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শিশু মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আলাল হুদা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে উপজেলার দুল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “দুল্লা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামে সাত মাস ধরে মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিল তারই জন্মদাতা বাবা। মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।”
আলাল হুদা পেশায় অটোরিকশা চালক। তার তিন মেয়ে। বড় মেয়ে স্থানীয় হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
ওসি মাহমুদ বলেন, “এই মেয়েকে গত সাত মাস ধরে নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল। মেয়ের আকুতি ও বাধার পরও বাবার লালসা থেকে রেহাই পায়নি। ঘটনাটি সে তার মাকে জানায়। শুনে ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মা-মেয়ে দুজনকেই বিভিন্ন সময় মারধর করে আলাল হুদা। নীরবে সহ্য করতে থাকে মা ও মেয়ে।”
এরপরও তা অব্যাহত থাকলে সাতদিন আগে মেয়েদের নিয়ে ঘর ছেড়ে যান মা। পরে স্বামী আলাল হুদার অনুরোধে শুক্রবার বাড়িতে ফিরে আসেন তারা।
“বাড়িতে আসার পর স্বামীর মতলব খারাপ দেখে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে বিষয়টি খুলে বলেন ওই মা। ইউপি সদস্য ঘটনা জানার পর বিকেলে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন।”
পরে রাত ৯টার আলাল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ওসি জানান।
মেয়েটির মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চোখের সামনে মেয়ের সর্বনাশ দেখে স্থির থাকতে পারিনি। কোনো উপায় না দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানাতে বাধ্য হই।
“আমি বাদী হয়ে মামলাও করেছি। মেয়ের ধর্ষণকারী কোনো ব্যক্তি আমার স্বামী হতে পারে না। তাই আমি এর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।”