রাঙ্গুনিয়ায় ৮ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা ছলিম উল্লাহ প্রকাশ সেলিমকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার পশ্চিম সরফভাটা হামিদশাহ হেফজখানা মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক সেলিম বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড বাকমারা গ্রামের নতুনপাড়া এলাকার ফজল আহম্মদের ছেলে।
এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার এসআই মো. মাহবুব জানান, ছেলের বাবার মামলার ভিত্তিতে হুজুর ছলিম উল্লাহ সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিন বিকালে আদালতেও সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই ছাত্রের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রটি পশ্চিম সরফভাটা হামিদশাহ হেফজ বিভাগে লেখাপড়া করছে। হেফজখানার পাশেই হুজুরের শয়নকক্ষ রয়েছে। এই ছাত্রটিকে সে গত ১ মাস ধরে নির্যাতন করে আসছে। বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুজুর তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিও প্রদর্শন করে এবং তাকে বিভিন্ন কিছু কিনে দিতো।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকেও একই ভাবে তাকে বলাৎকার করে ক্ষেত্রবাজার নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন কিছু কিনে দিয়েছে। কিন্তু এদিন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিষয়টি সে তাঁর মাকে জানায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করলে চিকিৎসকও এর সত্যতা পায়। এই বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই হুজুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিশুটির পরিবার।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. দিদার চৌধুরী বলেন, ‘ছোট্ট বাচ্চাটির উপর এই নির্যাতনের ঘটনাটি শুনে হতবাক হয়েছি। বিগত কমিটি এই হুজুরকে নিয়োগ দিয়েছিল। ন্যায় বিচারের জন্য আমরা হুজুরকে আইনের হাতে তুলে দিয়েছি। মাদ্রাসায় এই ধরণের ঘটনা যাতে আর না হয়, সে বিষয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।’