রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে কেরানীগঞ্জ থানার বসুন্ধরা রিভারভিউয়ের ভেতরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে বাসা থেকে বাজার করতে বের হলে গৃহবধূর স্বামীর পূর্ব পরিচিত রাজুসহ (৪০) কয়েকজন তাকে একটি গাড়িতে তুলে কেরানীগঞ্জ নিয়ে যান। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী ওই নারীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে তার স্বামী বলেন, ‘দেড় মাস আগে রাজু নামের একজন গাড়িচালকের সঙ্গে গাবতলিতে পরিচয় হয়। সে আমাকে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখায়। এরপর থেকে রাজুর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাজু যাত্রাবাড়ীতে মাঝেমধ্যে আসত। একদিন বাইরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে ওর পরিচয়ও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সকালে আমি ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করার জন্য বাসা থেকে বের হই। আমার স্ত্রীও তখন বাজার করতে ও গ্রামের বাড়িতে বিকাশে ১১ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য বের হয়। কাজলা রাস্তায় বাসার জন্য একটি তরমুজ কেনার সময় রাজু পিছন থেকে দেখতে পেয়ে স্ত্রীকে ডেকে বলে ভাই কোথায়, তার সঙ্গে দেখা করব বলে ডেকে গাড়িতে উঠায়।
‘তার গাড়িতে আরও ৩-৪ জন ছিলেন। পরে তাকে পানি খেতে বললে পানি খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর আর কিছু বলতে পারে না। স্ত্রীর কাছে থাকার টাকা ও গলায় ব্যবহৃত একটি স্বর্ণের চেইন ছিলো তা আর পাওয়া যায়নি।’
ভুক্তভোগীকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেকের নিয়ে আসা পথচারী নারী মমতাজ বেগম জানান, আমি সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ বসুন্ধরা রিভারভিউয়ে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। পরে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় খালি প্লটে ঝোপের ভেতর পাই। তখন তার গায়ে কোন কাপড় ছিলো না। আমি পাশেই থাকা তার জামা-কাপড় পরিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। এরপর তার স্বামীকে ঢামেক পুলিশ খবর দিলে তিনি আসেন।
অভিযুক্ত রাজুর বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার চুমুকদিয়া গ্রামে বলে জানান ভুক্তভোগীর স্বামী। রাজু ঢাকার মিরপুরে থাকেন। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢামেকের ওসিসিতে ভর্তি রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।