রাজধানীর তুরাগের চন্ডাল ভোগ এলাকার একটি বাসায় এক তরুণীকে (১৬) বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ২৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ধর্ষক নাজির হোসেন (৪৮) ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩০)কে আটক করেছে পুলিশ।
২৫ এপ্রিল শুক্রবার তুরাগ থানাধীন চণ্ডালভোগ গ্রাম বালুর ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি বাসা থেকে পুলিশ ১৬ বছর বয়সী ওই তরুণীকে উদ্ধার করছে।
ডিএমপি তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল মোত্তাকিন আজ শনিবার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে চন্ডাল ভোগ এলাকা থেকে স্ত্রী সেলিনাকে ও আজ শনিবার সকালে তুরাগের ডিয়াবাড়ি থেকে ধর্ষক নাজির হোসেনকে আটক করে পুলিশ। শনিবার সকালে জিঞ্জাসাবাদ শেষে উক্ত স্বামী স্ত্রী উভয়কে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: রফিকুল ইসলাম শনিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গৃহকর্মী সেলিনা আক্তার তার স্বামী লেগুনার মিস্ত্রী নাজির হোসনেরে সঙ্গে ওই তরুণীকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে র্ধষণ করিয়েছে। ঘটনা জানাজানি হলে নাজির কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই মো: রফিকুল ইসলাম শনিবার জানান, তরুনীকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ধর্ষনের সহযোগিতা করার অপরাধে ধর্ষক (স্বামী) নাজির হোসেন ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে আটক করে ২৫ এপ্রিল সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে জিঞ্জাসাবাদ করার জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী স্ত্রী উভয়ের ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।