রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার এক কিশোরীকে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর মন্ডলকে (৪২) ২৪ এপ্রিল শনিবার বিকেলে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়ালন্দঘাট থানা-পুলিশ।
জাহাঙ্গীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নলিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে শনিবার ভোরের দিকে নলিয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ইসহাক প্রামাণিক (৪৫) ও রেদোয়ান প্রামাণিককে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়ির কাছে পৌঁছালে জাহাঙ্গীর মন্ডল (৪২), ইসহাক প্রামাণিক (৪৫) ও রেদোয়ান প্রামাণিক (২০) মেয়েটিকে মোটরসাইকেল তুলে নিয়ে যান। বিষয়টি প্রাইভেট শিক্ষকসহ স্থানীয় অনেকেই দেখেন। এরপর থেকে মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।
এদিকে কিশোরী বাড়ি ফিরে না আসায় ছাত্রীর মা সব জায়গায় খুঁজতে থাকেন। প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে এলে তিনি বিস্তারিত জানতে পারেন। এরপর থেকে অপহরণকারীদের স্থানীয়ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের বাড়ির কাছে ছাত্রীকে অপহরণকারী জাহাঙ্গীর মন্ডল রেখে যান।
পরে পরিবারের কাছে স্কুলছাত্রী জানান, জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে রাজবাড়ী সদর থানার অজ্ঞাত স্থানের একটি বাড়িতে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন ঢাকার গাবতলী এলাকার অজ্ঞাত এক বাড়িতে নিয়ে সেখানেও তাকে আটকে ধর্ষণ করেন জাহাঙ্গীর মন্ডল।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গোয়ালন্দঘাট থানায় জাহাঙ্গীর মন্ডলকে প্রধান করে ইসহাক, রেদোয়ানসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেন।
গোয়ালন্দঘাট থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ২ আসামি আমাদের তথ্য দেয় প্রধান আসামি সাভারে লুকিয়ে আছে। আশুলিয়া থানার সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে বিকেল ৫টার দিকে প্রধান অভিযুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর মন্ডলকে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি।
এর আগে ২৩ এপ্রিল শুক্রবার মামলা দায়েরের পর ওই দিন শনিবার (২৪ এপ্রিল) ভোররাত চারটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ইসহাক, রেদোয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়।