রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও জোরপূর্বক গর্ভপাত করে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর রাতে ভুক্তভোগী তরুণী নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম ফেরদৌস মোহাম্মদ শ্রাবণ। তিনি রাবি শাখা ছাত্রলীগের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি বরগুনা জেলায়।

ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেন, গতবছরের আগস্টে ছাত্রলীগ নেতা শ্রাবণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই মাসে একদিন সন্ধ্যায় শ্রাবণ তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে চাইলে শ্রাবণ তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এ ঘটনার পর শ্রাবণ তাকে আরো দু’বার ধর্ষণ করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসের দিকে ভুক্তভোগী তরুণী গর্ভধারণ করলে শ্রাবণ তাকে জোর করে গর্ভপাত করান।

ওই তরুণী আরও অভিযোগ করেন, সবশেষ গত অক্টোবরে তিনি আবারও গর্ভধারণ করেন। এরপর থেকে ছাত্রলীগ নেতা শ্রাবণ তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না এবং তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা শ্রাবণ বলেন, ‘আমাদের রিলেশন ছিল। সম্পর্কের মধ্যে যা ঘটেছে দুইজনের ইচ্ছায় হয়েছে। দু’জনের সমঝোতায় ব্রেকআপও হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছে সেটি আমার জানা নেই।’

নগরীর মতিহার থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ফেরদৌস মোহাম্মদ শ্রাবণের নামে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ তুলে এক তরুণী মামলা করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।

সমকাল

মন্তব্য করুন