খুলনার রূপসা উপজেলায় সাংবাদিক এইচএম রোকনের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১২ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় রূপসার আইচগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুরুষ ও নারী ওই হামলায় অংশ নেন। এ সময় সাংবাদিক রোকনকে না পেয়ে তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার জুই (২৭) ও ভাইয়ের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে (৩৫) মারধর করা হয়।

 

খবর পেয়ে রূপসা থানা পুলিশ ওই বাড়ি থেকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আরিফুজ্জামান লিটনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক লিটন আইচগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান বাবুলের ভাই। সাংবাদিক এইচএম রোকন খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাঞ্চলের রূপসা প্রতিনিধি। এ ঘটনায় রূপসা থানায় মামলা করেছেন সাংবাদিক রোকন। ওই মামলায় চেয়ারম্যানের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিটনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সাংবাদিক রোকন জানান, আইচগাতী ইউনিয়নের নির্বাচনের আগে থেকে এলাকার মানুষকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুজ্জামান বাবুল ও তার ভাই লিটন একাধিকবার তাকে হুমকি দেন। রাতে ভোটগণনা শেষে আশরাফুজ্জামান বাবুল বিজয়ী হলে তার সমর্থকরা কয়েক দফা তার বাড়িতে আসে। অবস্থা খারাপ দেখে তিনি পালিয়ে যান। সকালে লিটনের নেতৃত্বে বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধর করা হয়।

তিনি বলেন, থানায় মামলা করার সময়ও আমাকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। নিজের জীবন নিয়ে এখন আমি আতঙ্কিত।

এ ব্যাপারে রূপসা থানার ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ও মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আরিফুজ্জামান লিটনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আইচগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান বাবুল সমকালকে বলেন, ভোট দেওয়া নিয়ে সাংবাদিক রোকনের স্ত্রীর সঙ্গে আমার নারীকর্মীদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছিল। লিটন বিষয়টি মীমাংসা করতে যায়। সেখান থেকে পুলিশ লিটনকে ধরে নিয়ে যায়। হামলা বা মারামারিতে লিটন ছিল না।

সমকাল

মন্তব্য করুন