লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে শিশু ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা গিয়াস উদ্দিন (৩০) নামে কওমি মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চরকাদিরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার গিয়াস উপজেলার চরজগবন্ধু এলাকার নাজিম উদ্দিন মাঝীর ছেলে এবং হাজিরহাট মারকাজুল উলুম কওমি মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার জানায়, উপজেলার চরফলকন জাজিরা এলাকার ১১ বছর বয়সী ওই শিশু এক বছর ধরে হাজিরহাট মারকাজুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় হিফজ শাখায় লেখাপড়া করছে। মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র হওয়ার সুবাধে শিক্ষক মাওলানা গিয়াস উদ্দিন প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করতেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ২০ দিন আগে ছাত্রটি পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। পরে স্বজনরা তাকে পুনরায় মাদ্রাসায় দিয়ে যান।
পরে ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই শিক্ষক আবারও শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি করলে ওই শিক্ষক নিজের কক্ষে তাকে আটকে রাখেন। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় কৌশলে শিশুটি পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। একপর্যায়ে স্বজনদের কাছে ঘটনাটি খুলে বললে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই শিক্ষককে ধরতে মাদ্রাসায় অভিযান চালায়। কিন্তু তার আগেই তিনি পালিয়ে যান। পরে পুলিশ উপজেলার চরকাদিরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিনকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার ও ভুক্তভোগী শিশুর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’