লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুর (১২) তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় মোক্তার উদ্দিন ওরফে মোক্তার আলী (৫২) নামে এক প্রতিবেশী দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

 

মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় মামলা করলে ধর্ষণের অভিযোগে মোক্তার উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোক্তার উদ্দিনের বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের টেপুরগারী এলাকার।

পরে বুধবার (২৭ মে) দুপুরে মোক্তার উদ্দিনকে লালমনিরহাট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে, ওই শিশুকে পুলিশি হেফাজতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার (২৭ মে) দুপুরে লালমনিরহাট সদর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে আসছিল মোক্তার হোসেন। কিছুদিন আগে তার ঘন ঘন বমি ও খেতে না পারার কারণ খুঁজতে গিয়ে দাদি বুঝতে পারেন সে অন্তঃসত্ত্বা।

শিশুটি বলে, “আমি তো এসব বুঝি নাই, এখন আমার কী হবে?”

ঘটনার শিকার শিশুটির দাদি বলেন, একটা বয়স্ক লোক এমন কাজ করবে আমরা এটা ভাবতেও পারিনি। আমার নাতনিই একটা শিশু, এখন ওর পেটের শিশুটির কী হবে? আমি চিন্তায় কুল পাচ্ছি না!

মেয়ের বাবা ঘটনার বিচার চেয়ে বলেন, এখন আমি কী করবো বুঝতে পারছি না। মেয়েকে নিয়ে কী করবো, আর তার পেটের শিশুটির কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, “শিশুটি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা, প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটি নিশ্চিত হওয়ার পর তার বাবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মোক্তার ওই শিশুটিকে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাতদিন তার বাড়িতে ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করেছে।”

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন