প্রতারণামূলক বিয়ের মাধ্যমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শেরপুরের নকলা থানায় কর্মরত এক পুলিশ উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জামালপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত এসআই মো. সবুর উদ্দিনের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকায়।
তার বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা এক তরুণী (২২) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোকলেছুর রহমান আকন্দ জানান, ২০১৭ সালে নালিতাবাড়ী থানায় কর্মরত ছিলেন এসআই সবুর। সে সময় তিনি ওই তরুণীর করা একটি শ্লীলতাহানির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। মামলার তদন্ত করার সুবাদে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বাদীর স্বামীর সঙ্গে তার বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। পরে এসআই সবুর ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিয়ের নাটক সাজিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করতে থাকেন।
সম্প্রতি এসআই সবুর নকলা থানায় বদলি হয়ে গেলে গত ১ অক্টোবর ভুক্তভোগী তরুণী ভরণপোষণ দাবি করলে এসআই সবুর বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে এসআই সবুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) হাসেম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায়ভার পুলিশ বিভাগ নেবে না।
পিবিআইয়ের (জামালপুর-শেরপুর) দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মইনুল হোসেন বলেন, আদালত থেকে কোনো আদেশের কাগজ এখনও পাওয়া যায়নি। অভিযোগের কাগজ হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।