সংবাদ প্রকাশের জের ধরে টাঙ্গাইলে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নামের এক সাংবাদিককে মারধর এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ায় হাউজিং মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারসন, বাংলাদেশ বুলেটিনের জেলা প্রতিনিধি এবং টি নিউজ বিডি ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাসুদ তার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। আকুর টাকুর পাড়ায় হাউজিং মাঠ এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবলু ও তার ছেলে মির্জা সিয়াম আনোয়ার বিশালসহ আরও অনেকে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। পরে মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবলুর নির্দেশে তার ছেলেসহ ৫-৬ জন প্রথমে মাসুদকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন। পরে তারা কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। একপর্যায়ে মির্জা সিয়াম আনোয়ার বিশালের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় আঘাতের চেষ্টা করেন। এসময় মাসুদের কাছে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নেন এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।

 

মাসুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা মাসুদকে উদ্দেশে করে বলেন, পরবর্তী সুযোগ পেলে আরও মারধর করা হবে এবং হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাসুদ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং রাতেই চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার আসামিরা হলেন-জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবলু ও তার ছেলে মির্জা সিয়াম আনোয়ার বিশাল, মো. রাফি এবং মো. রাকিব।

সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, গত বছরের ১ মে ছিনতাই ও মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবলুর ছেলেসহ দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যাচেষ্টা এবং মারধর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল সদর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মোরাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।

এদিকে সাংবাদিক মাসুদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন