সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় মরিয়ম খাতুন (২০) নামে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা সদরের বল্লভপুর গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের পাশে খড়ের গাদার ওপর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মরিয়ম উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের পান বিক্রেতা আব্দুল কাদেরের মেয়ে। তিনি শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

নিহতের বাবা আব্দুল কাদের জানান, ৮ জানুয়ারি বুধবার রাতে খাওয়ার পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে মরিয়ম ঘরের বইরে যায়। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও সে আর ঘরে ফিরে আসেনি। পরে বৃহস্পতিবার শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। গতকাল শুক্রবার স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পাশের গ্রামের একটি খড়ের বোঝার ওপর মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল এবং পাশে আরো ২টি ওড়না পড়ে ছিল।

শ্যামনগর থানার ওসি আলহাজ মো. নাজমুল হুদা জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ভোরের কাগজ

মন্তব্য করুন