সাভারের আশুলিয়ায় ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে জুস খাইয়ে ধর্ষণের মামলায় ধর্ষক কুদরত হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গকুলনগর এলাকার মোঃ রাসেলের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৮ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কুদরতকে ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। যার মামলা নং-০৯ । আসামি কুদরত হোসেন মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার কামার গাঁ গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার গকুলনগর এলাকায় ভাড়া থেকে তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ রকিবুল হাসান বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটি গত ২৯ ডিসেম্বর তার দাদীর সাথে আশুলিয়া এলাকায় বাবা-মায়ের কাছে বেড়াতে আসে। গত ২ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ির পাশে খেলতে বের হয় শিশুটি। এ সময় ওই এলাকায় বাসা খুঁজতে যাওয়া কুদরত হোসেনের চোখে পড়ে ১১ বছরের শিশুটি। কুদরত শিশুটির সাথে কথা বলার একপর্যায়ে তাকে জুস খাইয়ে কৌশলে পাশের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির নিচ তলায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ধর্ষক কুদরত। পরে রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
তবে আদালতে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে ধর্ষক কুদরত হোসেন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ রকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে গত ৪ জানুয়ারি আশুলিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার গকুলনগর এলাকার মোঃ রাসেলের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কুদরত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।