সিলেটের বালাগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছেন ব্রিক ফিল্ডের ম্যানেজার ধীরাজ পাল (৬৩)। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার আলমপুর এলাকার মনিপুর গ্রামের মৃত দিতেন্দ্র কুমার পালের ছেলে।
২৮ মে শুক্রবার দুপুরে বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর এলাকার রতনপুর গ্রামে জিবিসি ব্রিক ফিল্ডে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে তিনি মারা যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা ব্রিক ফিল্ডের অফিসের ড্রয়ার থেকে টাকা ও জরুরি কাগজপত্র লুটে নেয়।
বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ব্রিক ফিল্ডের ম্যানেজারকে কুপিয়ে জখম করে অফিসের টাকা ও কাগজপত্র লুটে নিয়েছে।
তিনি বলেন, দুপুরে জুমার নামাজের জন্য ব্রিক ফিল্ডের সবাই মসজিদে চলে গিয়েছিলেন। এই ফাঁকে ম্যানেজার ধীরাজ পালের ওপর হামলা হয় বলে ব্রিক ফিল্ডের বাকি লোকজন জানিয়েছে। নামাজ শেষে তারা ব্রিক ফিল্ডে ফিরে ধীরাজ পালকে জখম অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর ওসমানীতে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান।
নিহত ধীরাজ পালের ভাতিজা সাংবাদিক দেবাশিষ দেবু সমকালকে জানান, দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর ধরে তার চাচা ব্রিক ফিল্ডে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ সুবাদে তিনি ব্রিক ফিল্ডেই বসবাস করতেন। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।
ব্রিক ফিল্ডের কর্মচারীদের বরাত দিয়ে সাংবাদিক দেবাশিষ দেবু বলেন, জুমার নামাজের সময় সবাই মসজিদে চলে যাওয়ায় ধীরাজ কাকা একা ছিলেন। দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে হামলা হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।
ওসি নাজমুল হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পাশাপাশি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। ব্রিক ফিল্ডে ছয়জন অংশীদার রয়েছেন। খুনের নেপথ্যে মালিকানা নিয়ে কোনো বিরোধ রয়েছে কি-না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া ব্রিক ফিল্ডের টাকা ও জরুরি কাগজপত্রের জন্যও খুন হতে পারেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য সবদিক সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে।
শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত নিহতের পরিবার বা ব্রিক ফিল্ডের মালিকদের পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার ওসমানী হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে।