সিলেটের বিয়ানীবাজারে চারখাই ইউনিয়নে এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আল আমিন (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

 

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইয়ের তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন দিরাই থানার সাংসাকিতপুর এলাকার আব্দুল মজাতের ছেলে।

ওই মাদরাসাছাত্রীর বাবা বলেন, মাদরাসা থেকে আসা-যাওয়ার পথে আমার মেয়েকে আল আমিন প্রায় উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি নিয়ে তাকে একাধিকবার সতর্কও করা হয়েছিল। গত শনিবার মাদরাসা থেকে বাসায় ফেরার পথে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সিলেটের একটি হোটেলে রাতভর ধর্ষণ করে সকালে মোবাইল রিচার্জ করার কথা বলে আল আমিন আমার মেয়েকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তার আমার বাড়ি ফিরে আসে এবং ঘটনা বিস্তারিত জানায়। এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় অভিযুক্ত করে আল আমিন বিয়ানীবাজার থানা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থেকে অভিযান চালিয়ে অভিযোক্ত যুবক আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে সে অপহরণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে ১৪ এপ্রিল বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সে আদালতে অপহরণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। কিশোরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন