পুলিশ সেজে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কয়েকজন। এ রকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় গত ৩১ জানুয়ারি।

 

ঘটনাটি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার। এই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পনারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মুক্তারজামান (২০), একই গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক শাহিন মিয়া (২৫), শাহিদুল মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (২০), আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২০) ও নোয়াগাঁও গ্রামের মো. তুরাব আলীর ছেলে মো. কামরুল হাসান (২৪)।

পুলিশ সেজে পুলিশকে তাচ্ছিল্যভাবে উপস্থাপন ও জিজ্ঞাসাদের এমন ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে চুনারুঘাট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ভূপেন্দ্র চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনের নামে মামলা করেন।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ভোররাতে তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন।

পুলিশের মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি রাতে উপ পরিদর্শক (এসআই) ভূপেন্দ্র চন্দ্র সূত্রধর মুক্তারজামান নামক একটি আইডি থেকে ফেসবুকে ‘‘পুলিশকে চা-খাওয়ালেন শাহীন ড্রাইবার’’ ক্যাপশন লিখা একটি ভিডিও দেখতে পান। ভিডিওটিতে পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করতে তাচ্ছিল্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কয়েক ঘটনার মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এরপর বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপেও এটি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা পুলিশ বাহিনীর মানহানি ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা ও জনগনের নিকট পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৫ জনের নামে মামলা করেন এসআই ভূপেন্দ্র চন্দ্র সূত্রধর।

চুনারুঘাট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন পুলিশের ছদ্মবেশ ধারণ করে অটোরিকশা চালকে জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভুয়া ভিডিও ধারণ করে। এরপর এটি ফেসবুকে আপলোড করে। পুলিশকে জনগনের নিকট হেয় প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারা ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের হবিগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

সিলেট সমাচার

মন্তব্য করুন