হিলিতে ‘আদিবাসী পল্লীর’ তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক ও তার স্ত্রী। তবে অভিযুক্তের বাড়ি তালাবদ্ধ করে রেখেছে এলাকাবাসী।

 

এদিকে থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলেও থানায় ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সাংবাদিকের উপস্থিতি কথা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য গেলেও এ বিষয়ে কিছুই জানে না হাকিমপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ।

মেয়েটির বাবার বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, ২৩ মে শনিবার রাতে উপজেলার চণ্ডিপুর ‘আদিবাসী পল্লীর’ শোবার ঘরে ঢুকে তৃতীয় শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে রহমত নামের এক যুবক। পাশের বাড়ির এক নারী দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে রহমতকে হাতে-নাতে ধরে উত্তম-মধ্যম দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে গেলে ওসি স্যার আসেনি অজুহাতে ভুক্তভোগীদের থানায় ঢুকতে দেয়নি দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার। নিরূপায় হয়ে রহমতকে ছেড়ে দিয়ে সবাই ফিরে যায় ‘আদিবাসী পল্লীতে’। অভিযুক্তকে আটক করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর। ঘটনাস্থলে সাংবাদিক যাওয়ায় কথা শুনে পরিদর্শনে যায় থানা কর্তব্যরত দুইজন পুলিশ সদস্য।

হাকিমপুর থানার এসআই মোবারক হোসেন জানান, আদিবাসী পল্লীত একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তে এসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে আসল ঘটনা কী।

তবে হাকিমপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে সাংবাদিকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

সময় নিউজ টিভি

মন্তব্য করুন