১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ নভেম্বর নারী (১৯৯২) নিষিদ্ধ করে তখনকার বিএনপি সরকার।বইটি নিষিদ্ধ করার আদেশপত্রে বলা হয়, “পুস্তকটিতে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি তথা মৌলিক বিশ্বাসের পরিপন্থী আপত্তিকর বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ায় সরকার কর্তৃক ফৌজদারি কার্যবিধির ৯৯ ‘ক’ ধারার ক্ষমতাবলে বর্ণিত পুস্তকটি বাজেয়াপ্ত হইল।” এর সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয় দুই পাতার একটি সুপারিশ। দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ দুটি বিশেষজ্ঞ থেকেই আসে সুপারিশটি। এরা নারী থেকে ১৪টি বাক্য উদ্ধৃত করে বইটি বাজেয়াপ্ত করার পরামর্শ দেয়। হুমায়ুন আজাদ লিখেছেন, ‘এত বড় বই পড়ার শক্তি ওই দুই মৌলবাদীর ছিল না; তারা বইটি থেকে কয়েকটি বাক্য তুলে পরামর্শ দেয় নিষিদ্ধ করার।’

তবে, বেশি দিন নারী নিষিদ্ধ রাখা যায়নি; ২০০০ খ্রিস্টাব্দের ৭ মার্চ বাংলাদেশের উচ্চ বিচারালয় ওই আদেশ অবৈধ ঘোষণা করলে পরের মাসেই বইটির তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ বেরোয়।

মন্তব্য করুন