বৈশাখী অনুষ্ঠানে বেড়াতে নিয়ে এক যুবতী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ১৪ এপ্রিল রবিবার বিকেলে অজ্ঞান অবস্থায় ওই যুবতীকে পটিয়া হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষক রিপন (২৬) একজন গাড়ি চালকের সহকারী। সে কচুয়াই ইউনিয়নের বাসিন্দা। তবে তার পিতার নাম জানা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের এক যুবতী (১৮) পটিয়া বিসিক শিল্প নগরীর একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতেন। বিসিক শিল্প নগরীতে মালামাল সাপ্লাই কাজে ব্যবহৃত গাড়ি চালকের সহকারী হিসেবে রিপন চাকুরী করতেন। পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে যুবতীকে সকালে রিপন একটি সিএনজি টেক্সী করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। বিকেল পৌনে ৫টায় কয়েকজন যুবক যুবতীকে অজ্ঞান অবস্থায় পটিয়া হাসপাতালে নেন।

ধর্ষণের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হওয়ায় যুবতীকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পটিয়া জরুরী বিভাগের ডাক্তার সায়মা আকতার জানান। ধর্ষক রিপনের বন্ধু আবদুল মান্নান নিজেকে সাইফুল দাবি। সে জানিয়েছে তার বন্ধুর সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে কি হয়েছে তা বলতে পারেন না। তবে ওই যুবতীর ভাই মো. দিদার অভিযোগ করেছেন, তার বোন পটিয়া বিসিক শিল্প নগরীর একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতেন। বৈশাখী অনুষ্ঠানে নেওয়ার কথা বলে তার বোনকে যৌন হয়রানি করেছে গাড়ি চালকের সহকারী রিপন। তার বোনের সঙ্গে রিপনের পরিচয় ১০/১৫ দিন হবে। তার বোনের জ্ঞান ফিরলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানিয়েছেন, গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিস্কারভাবে জানাতে পারেনি। তবে শুনেছেন। শীঘ্রই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ধর্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।

জনকণ্ঠ

মন্তব্য করুন