পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় স্বামীকে বেঁধে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেয়ায় আদালতে গেলেন গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ। একই সঙ্গে ছয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন তিনি।

আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য মহিপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। ১৭ এপ্রিল বুধবার সকালে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ মামলা নেয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৫ এপ্রিল সোমবার রাতে উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলি গ্রামে ছয়জন যুবক ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তার স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রাখে ধর্ষকরা।

গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ ও তার স্বামী জানান, সোমবার রাতের এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে মহিপুর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। উপায় না পেয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে বিষয়টি জানানো হয়। বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা মামলা নেয়ার জন্য মহিপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মামলা না নেয়ার কারণ জানতে চাইলে মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, গণধর্ষণের ঘটনার কোনো অভিযোগ নিয়ে ভুক্তভোগী কিংবা তার পরিবারের কেউ থানায় আসেনি। গৃহবধূ অভিযোগ করলে অবশ্যই আমরা মামলা নিতাম।

তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি আমি জেনেছি। ওই মামলা আমরা গ্রহণ করব।

পটুয়াখালী হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগের কনসালট্যান্ট জাকিয়া সুলতানা বলেন, গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ডাক্তারি পরীক্ষার কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন