ভোলার চরফ্যাশনে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে দুই দফা গণধর্ষণ করেছে পাঁচ ধর্ষক। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেমিক সোহেলসহ পাঁচজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার কুকরি-মুকরি ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদীতে ট্রলারের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন- দক্ষিণ আইচা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খলিল মিয়ায় ছেলে ইউসুপ হাসান সর্দার (২১), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাকিম দিদারের ছেলে সোহেল রানা দিদার (২০), চরমানিকা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোকাম্মেল সিকদারের ছেলে ওয়াসেল আহমেদ সিকদার (২২), ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কচ্ছপিয়া গ্রামের আবুল কাশেম হাং-এর ছেলে মোর্শেদ হাং (৩৫) ও একই গ্রামের ইসমাইল ফকিরের ছেলে রুপন ফকির (২০)।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের চরফ্যাশন কন্টিজেন্ট কমান্ডার আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রাতে কোস্টগার্ডের একটি দল টহল দিচ্ছিল। এ সময় কুকুরী-মুকরি এলাকায় একটি স্টিলের ট্রলারে সন্দেহ হলে সেখানে অভিযান চালায়। তখন ট্রলারের মধ্যে কোস্টগার্ডকে দেখে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দেন ওই তরুণী। এ সময় কোস্টগার্ড পাঁচজনকে আটক করে। সকালে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মিলন কুমার ঘোষ বলেন, এ ঘটনায় ওই তরুণী একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আটকদের দুপুরে চরফ্যাশন আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, গত কয়েকমাস ধরে সোহেল নামে এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মায়ের চিকিৎসার জন্য ওই তরুণী প্রেমিক সোহেলের কাছে কিছু টাকা চাইলে দক্ষিণ আইচায় আসতে বলে। পরে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ট্রলারে কুকরি-মুকরি নারকেল বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন সোহেলসহ তার সহযোগীরা। পরে বুড়াগৌড়া এলাকায় নিয়েও ধর্ষণ করা হয়।
ওই তরুণী ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। কিছুদিন আগে গ্রামে চরফ্যাশনে আসেন। তার বাড়ি আসলামপুর ইউনিয়নে। নির্যাতিত ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ট্রলারে প্রেমিকসহ পাঁচজন মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।