গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় মাদ্রাসার অনিয়ম সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ‘জাগো নিউজ’ ও ‘বাংলা টিভির’ সাংবাদিক জাহিদ খন্দকার ও স্থানীয় সাংবাদিক একরামুল হকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ওই সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ও বাংলাটিভির কাজে ব্যবহৃত একটি ভিডিও ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, টাকা ও ক্যামেরা রাখার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং হত্যার চেষ্টা করে রেজাউল বাহিনী।
সাঘাটা থানায় এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে চুপচাপ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার (১৬ মে) বিকালে সাঘাটা উপজেলার মথর পাড়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইমরানের ভাই রেজাউল করিমের দুই ছেলে রুবেল ও সজিব এবং মাদ্রাসাটির সুপার শহিদুল ইসলাম সাংবাদিককে দেখে পথরোধ করে চড়াও হয়।
‘মাদ্রাসার নিউজ করার সহস কইপাইছিস, তোর মতো সাংবাদিককে মেরে ফেললে কিচ্চু হবে না” এই বলেই মারতে শুরু করে এবং ক্যামেরাসহ বাংলাটিভির লোগো ও ক্যামেরার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে সাংবাদিককে হত্যার উদ্দেশে ঘরে তুলে রশি দিয়ে হাত পা বাঁধতে শুরু করে রেজাউল বাহিনী। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পান ওই দুই সংবাদকর্মী।
সাংবাদিক জাহিদ খন্দকার বলেন, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ‘জাগো নিউজ ২৪ ডটকমে’ গাইবান্ধার সাঘাটায় এমপিওভুক্ত মথরপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ‘৩৮ জন ছাত্র ১১ জন শিক্ষক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ফলে মাদ্রাসার সভাপতি ইমরান ও সুপার শহিদুল ইসলাম মাদরাসার কার্যক্রম নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহির মুখে পড়ে। এর জের ধরেই এই ঘটনা ঘটায় রেজাউল বাহিনী।