বগুড়ার মহাস্থানগড়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে নিয়ে এসে আটকে রেখে ধর্ষণ করে দালাল চক্রের মাধ্যমে পতিতালয়ে বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৩ ব্যক্তিকে রাতেই গ্রেপ্তার ও তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ জুন) সকাল ১০টায় মহাস্থানগড় পাথরপর্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী এলাকার তরুণীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একই এলাকার লায়ন নামের এক ব্যক্তি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় পাথরপর্টি এলাকার দেহব্যবসায়ী শেলীর মিনি পতিতালয়ে নিয়ে যায়। এরপর ওই মেয়েকে একটি রুমে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে লায়ন।
ধর্ষণের পর ঘরে আটকে রেখে বাড়ির মালিক শেলী ও তার স্বামী মিঠুসহ বেশ কিছু দালালচক্রের সাথে ওই মেয়েকে বিক্রির জন্য দরকষাকষি করে লায়ন। বিষয়টি শুনতে পেয়ে ভয়ে আঁতকে ওঠে ওই মেয়ে। এক পর্যায়ে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে শেলীর বাড়ির পেছনের গেট দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে একজন তরুণীর দৌড়ানো দেখে স্থানীয় যুবকদের সন্দেহ হয়। তারা ওই তরুণীকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুরো বিষয়টি জানতে পারে। স্থানীয়রা সবকিছু শোনার পর এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শিবগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে শিবগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাফিজ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর সাথে কথা বলে।
পরে ওই তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে রাতে শেলীর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার বাড়ি থেকে বর্ষা নামের আরও এক পতিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনা বেগতিক দেখে শেলী ও তার স্বামী মিঠু পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার ও তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শেলী ও তার স্বামীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।