সাভারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার কথিত প্রেমিকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে তরুণীর কথিত প্রেমিক সাকিবুর রহমান রিফাত (২০) ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। বাকিরা ধর্ষণে সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছে। আদালত ৬ আসামিকেই জেল হাজতে পাঠিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার বিষ্ণপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে কথিত প্রেমিক সাকিবুর রহমান রিফাত (২০)। তাকে সহযোগিতাকারী পাঁচ দুর্বৃত্ত হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার মিনি বাজার গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে বাবু (২৬), একই থানার বমপুর গ্রামের তহুরুল ইসলামের ছেলে ইউসুফ আলী (১৯), একই জেলার ভোলাহাট থানার পীরগাছি বাজার এলাকার মহিবুল হকের ছেলে সোহেল রানা (৩০), একই থানার বারইপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মাইনুল ইসলাল (৩০) ও সদর থানার নামোরাই হাজিপাড়া গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে মোকারম মিয়া (২৬)।
পুলিশ জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমের ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্ত সাকিবুর রহমান রিফাতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্র ধরে রবিবার বিকেলে সাভারের একটি এলাকার বাসা থেকে ওই নারীকে ডেকে হেমায়েতপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা শেষে সন্ধ্যার সময় কৌশলে হেমায়েতপুর নতুনপাড়া এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই থাকা তার আরও ৫ বন্ধুর সহায়তায় ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে সাকিবুর রহমান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে । এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশ) মোহাম্মদ আল-আমিন তালুকদার বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার ছয় আসামিকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে রিফাত নামের যুবক ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। বাকি পাঁচ যুবক আদালতের বিচারকের কাছে ওই ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে বলে স্বীকার করে। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।