ফেনীর সোনাগাজীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মানিক মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ২১ মার্চ রোববার দুপুরে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরলামছি গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

 

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একইদিন রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযোগ দিলে পুলিশ সেটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে। অভিযুক্ত মানিক মিয়া পেশায় কেজন পিকআপ চালক।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে ওমর ফারুকের সঙ্গে সোনাগাজী উপজেলার চরলামছি গ্রামের নবম শ্রেনির এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা গত ২২ জানুয়ারি রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে ফারুক তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করেন। গত ১৭ মার্চ ফারুক শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনা জানার পর ফারুকের বাবা মানিক মিয়া তাদের বিয়ে মেনে নেবেন বলে গত শনিবার রাতে ছেলের শ্বশুর বাড়িতে যান। পরে গভীর রাতে মানিক মিয়া তার পুত্রবধূর শোওয়ার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে তার বাবাব-মাসহ প্রতিবেশীরা ছুটে এসে শ্বশুর মানিক মিয়াকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে আটক রাখে। রোববার দুপুরে ঘটনাটি থানায় জানানো হলে পুলিশ তাকে আটক করে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক সত্যতা পাওয়াতে ভিকটিমের মায়ের অভিযোগটি রেকর্ড করে অভিযুক্ত মানিক মিয়াকে সোমবার দুপুরে ফেনীর আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য তাকে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে হাজির করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সমকাল

মন্তব্য করুন