ময়মনসিংহে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রায় পাঁচমাস পর অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অভিযান চালিয়ে বৃদ্ধকে গ্রেপ্তারের পর ২৩ মার্চ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতে কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ওই বৃদ্ধ।

 

পিবিআই জানায়, জেলার ধোবাউড়া উপজেলার একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো ওই কিশোরী (১৩)। অভাবের তাড়নায় কলসিন্দুর বাজারে বিভিন্ন দোকানে টুকিটাকি কাজ করে টাকা জমাতো সে। গত বছরের ২৬ অক্টোবর কিশোরী মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন দেলোয়ার হোসেন (৬৪)। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার চরকাগমারা গ্রামে। তবে ধোবাউরার রানীপুর এলাকায় বিয়ে করে সেখানে বসবাস করতেন তিনি। করসিন্দুর বাজারে তার একটি ভাঙারি দোকান আছে। ওই দোকান ঘরেই মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৭ অক্টোবর থানায় একটি মামলা হয়।

পিবিআই আরও জানায়, থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও ওই বছরের ৩ নভেম্বর স্ব-উদ্যোগে পিবিআই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে। প্রযুক্তির সহায়তায় প্রায় ৫ মাস পর গত রোববার রাতে বৃদ্ধ দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানন্দি দেন তিনি।

পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, অসহায় মেয়েটিকে প্রায়ই টাকা দিয়ে সহায়তা করতেন দেলোয়ার। তার অসহায়ত্বের সুযোগে দোকান ঘরে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

সমকাল

মন্তব্য করুন