কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর সিতাইঝাড় এলাকায় ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আলম মিয়া (৪০) নামে চায়ের দোকানের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

শুক্রবার (৭ মে) সকালে শিশুটির মা বাদী হয়ে আলম মিয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর দুপুরের দিকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আলম মিয়া বিবাহিত এবং চর সিতাইঝাড় গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (৩ মে) শিশুটিকে ধর্ষণ করে স্থানীয় চায়ের দোকানের কর্মচারী আলম মিয়া। ধর্ষণের পর নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানোয় শিশুটি ভয়ে এ ঘটনা কাউকে জানায়নি। ওই ঘটনার ৩ দিন পর বৃহস্পতিবার (৬ মে) প্রচণ্ড ব্যথা ও রক্তপাত শুরু হলে শিশুটি তার মাকে সব কিছু জানায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হলেও তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটির বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে তার মাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় মায়ের সাথে নানা-নানীর বাড়িতে থাকে। তার মা শহরের দর্জির দোকানে কাজ করে। এ অবস্থায় ঘটনার দিন ভিকটিমকে বাড়িতে রেখে নানা-নানী রাস্তায় মাটি কাটার কাজ করতে যাওয়ার সুযোগে বাড়ি সংলগ্ন চায়ের দোকানের কর্মচারি আলম মিয়া শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, শিশুটির মায়ের অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করার পরপর অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (০৮ মে) জেনারেল হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।

সময় নিউজ টিভি

মন্তব্য করুন