জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে হিন্দু গৃহবধুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিচার নিয়ে প্রতারণা করায় ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ।
থানায় অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (৯ মে) সকাল ৭টায় উপজেলার বড়তারা পশ্চিম পাড়া গ্রামের শ্রী বিমল চন্দ্র মালী ছেলে বিফল চন্দ্র মালি, তার বাবা ও ভাই একই বাড়ীতে বসবাস করছিল। প্রতি দিনের ন্যায় দিনমজুরের কাজ করতে তারা ওই এলাকার তাওসারা গ্রামে যায়। ওই দিন বেলা ১১টায় একই গ্রামের সফির উদ্দিনের ছেলে রিপন(২৩) এর সহযোগী মুনছুর আলী ছেলে রাকিব হোসেন(২৫), বিফল চন্দ্রে বাড়ীতে যায়। এমন সময় তার স্ত্রী শ্রীমতি নুপুর রানী (১৯) বাড়ীর আঙ্গিনা পরিস্কার করছিলেন। ওই দুই বখাটে গৃহবধু নূপুরের এনআইডি কার্ড অনলাইন থেকে তুলে দেওয়ার কথা বলে বাড়ীতে প্রবেশ করে। ওই সময় গৃহবধুকে একা পেয়ে জোড় পূর্বক তাকে ঝাপটে ধরে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। নিজেকে রক্ষায় সে আর্ত চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে ওই দুইজনকে বাড়ীর ভিতর আটকে রাখে। খবর পেয়ে তার স্বামী বিফল চন্দ্র বাড়ীতে এসে ঘটনার বিবরণ শুনে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে থানা অভিযোগ করতে চাইলে উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর এ ঘটনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ইউপি সদস্যের নিকট বিচারের কথা বললে সে বিভিন্ন তালবাহানা দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
বিচার না পাওয়ায় ভুক্তভুগীর স্বামী বিফল চন্দ্র মালী বাদী হয়ে যৌন নিপীড়নের কারীদের সহযোগীতার দ্বায়ে ওই ইউপি সদস্য আব্দুল গফুরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ ওই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করে জেলা হাজতে প্রেরণ করে।
ক্ষেতলাল থানা ওসি নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে গত ১০ মে ২০২১ তারিখে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল গফুরকে গ্রেফতার করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। দুই আসামী পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।