বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও দিদারুল ভূঁইয়াসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে পুলিশ। তবে মামলার অন্যতম আসামি লেখক মুশতাক আহমেদ মারা যাওয়ায় তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
এজারভুক্ত আরো তিন আসামিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে মামলা থেকে।
৯ জুন বুধবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মোসতাক আহমেদ, দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় আহমেদ কবির কিশোর, মুশতাক আহমেদসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা পলাতক ছিলেন। পরে এই ৬ জনের বিরুদ্ধে আই অ্যাম বাংলাদেশি (ইংরেজি হরফে লেখা) নামের একটি ফেইসবুক পেজ থেকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনা, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির’ অভিযোগ আনা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। তবে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদ মারা যান।
জানা গেছে, বুধবার (৯ জুন) ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আফছর আহমেদ সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারী করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। তাছাড়া তারা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধ করেছেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন আহম্মেদ কবির কিশোর (৪৫), দিদারুল ইসলাম (৩৯), মিনহাজ মান্নান ইমন (৫২), তাসনিম খলিল (৩৯), সামিউল ইসলাম খান ওরফে সায়ের জুলকার নাইন ওরফে সামি (৪৩), আশিক মোহাম্মদ ইমরান (৩৯) ও ওয়াহিদুন নবী (৪৯)।
এ ছাড়া লেখক মুশতাক আহমেদ (মারা গেছেন), মিনহাজ মান্নান, তাসনীম খলিল, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখারকে চার্জশিটে আসামি করা হয়নি।