নিজ জাতির কয়েক নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং। সম্প্রতি আদিবাসীদের সংগঠন ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (টিডব্লিউএ) একটি ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে তাকে নিয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য করায় ধোবাউড়া থানায় এ মামলা করেন তিনি।

 

এতে আসামি করা হয়েছে নিখিল মানখিন, জন জেত্রা ও সুভাষ বর্মনকে। সুভাষ বর্মন টিডব্লিউএর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। এর সত্যতা নিশ্চিত করে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।

মামলার প্রসঙ্গে এমপি জুয়েল আরেং বলেন, তিনি টিডব্লিউএর কেউ নন, কোনো প্রার্থীও নন। তার পরেও লাইভ প্রোগ্রামে তাকে নগ্নভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। যেখানে আমার কোনো সম্পৃক্তা নেই, সেখানে শুধু শুধু কেন আমাকে টেনে আনা। ঘটনার কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও তাদের দিক থেকে কোনো সাড়া (রেসপন্স) না পাওয়ায় নিরাপত্তার জন্য মামলা করেছি।

টিডব্লিউএর মেয়াদোত্তীর্ণ ৪২টি শাখা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে ‘কল্যাণকামী আদিবাসী জনগণ’ গত ১৩ জুলাই অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করে। জন জেত্রার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন নিখিল মানখিন।

সভায় আদিবাসী সমাজের অনেক নেতাসহ টিডব্লিউএর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ বর্মন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সমিরন কুমার সিংহ আলোচক ছিলেন। আলোচনার একপর্যায়ে সুভাষ বর্মন এমপি জুয়েল আরেংকে ‘দুই নম্বর লোক’ বলেন।

পরে অবশ্য সুভাষ বর্মন রূপচান বর্মনের ফেসবুক আইডি থেকে জুয়েল আরেংয়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে অনিচ্ছাকৃত বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন। এর পরেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিজ জাতির লোকদের বিরুদ্ধে এমপির মামলা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক জন জেত্রা বলেন, টিডব্লিউএর জটিলতা নিরসনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কারণে কিছু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। সুভাষ বর্মনের অনিচ্ছাকৃত বক্তব্য নিয়ে মামলা হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে জুয়েল আরেং মেয়াদোত্তীর্ণ শাখা কমিটির নির্বাচনকে ব্যাহত করে এক পক্ষপাততুষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

সমকাল

মন্তব্য করুন