শরীয়তপুর পৌরসভায় সাংবাদিক রোকনুজ্জামান পারভেজকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন সাংবাদিকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাঁকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত রোকনুজ্জামান পারভেজ (৪০) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি এবং শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শরীয়তপুরে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা।
সাংবাদিক রোকনুজ্জামান ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে রোকনুজ্জামান পারভেজ তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। হঠাৎ দোকানের সামনে শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর পালং গ্রামের আবুল কাশেম মাদবরের ছেলে নাজমুল মাদবর ও নাঈম মাদবরের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক এসে এক নারীকে রড, লাঠি দিয়ে মারধর করছিল। আত্মরক্ষা করতে সাংবাদিক পারভেজের দোকানে ঢুকে পড়েন ওই নারী। দোকানের ভেতরে ঢুকেও তারা পিটাতে থাকে। তখন আক্রমণকারীদের দোকান থেকে বের হতে বলেন পারভেজ। পরে ‘ভিডিও করছস কেন’ বলে পারভেজকে কিল-ঘুষি মারে ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে তারা। খবর পেয়ে পালং মডেল থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় পারভেজকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তা ছাড়া পারভেজের দোকানের ক্যাশে রাখা ও সঙ্গে থাকা নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।
এই ঘটনার পর নাজমুল মাদবর ও নাঈম মাদবরের বাবা আবুল কাশেম মাদবর বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না। যদি আমার ছেলেরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তাদের বিচার করা হোক।’
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ‘পারভেজকে আমার তত্ত্বাবধানে রেখেছি। মাতার নিচে আঘাত রয়েছে। ২৪ ঘণ্টার আগে বলা যাচ্ছে না তার অবস্থা কি?’
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ওসি মো. আক্তার হোসেন বলেন, আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
শরীয়তপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে বলেন, ‘পারভেজের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক।’