সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমজাদ হোসেন (৫০) ও নেছার আলী (৫৩) নামে ২ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তাদের উপজেলা পৌর সদরের মুরারীকাটির হাবুজেল মোড় থেকে আটক করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে- গত ৯আগস্ট দুপুরের দিকে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও নিউজ অব কলারোয়া নামক ফেইসবুক পেইজ অনলাইন পোর্টালে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে। এঘটনায় গত ১২আগস্ট কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বাদী হয়ে কলারোয়ায় থানায় ২৫(১)২৯(১)৩১(২) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, আক্রমনাত্মক ভাবে মানহানীর উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করিয়া জনসাধারনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির অপরাধে একটি মামলা ইং ১০(৮)২১ দায়ের করেন।
উক্ত মামলার প্রধান আসামী উপজেলা পৌর সদরের মুরারীকাটি গ্রামের মৃত বাবুর আলীর সানার ছেলে আমজাদ হোসেন সানা (৫০) ও দ্বিতীয় আসামী একই গ্রামের মোমিন গাজীর ছেলে নেছার আলী গাজী (৫৩) কে পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আটক করে। এবিষয়ে মামলার বাদী কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান-কলারোয়ার মুরারীকাটি হাবুজেল নামক স্থানের কালভার্টের উত্তর মুখ বালুর বস্তা ও মাটি দিয়ে আমজাদ হোসেন ও নেছার আলীসহ দক্ষিণ পাশের্^র বসবাসরত বাড়ীর মালিক ও জমির মালিকেরা সম্মিলিত ভাবে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেয়। যার ফলে উত্তর পার্শের ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি নিয়ে উত্তর মুরারীকাটি গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে তিনি ফেইসবুকে সকল গ্রামবাসীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। সাথে সাথে মোবাইল ফোনে সংসদ সদস্য, সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে বিষয়টি অবহিত করেন। ১৫০বছর যাবৎ মুরারীকাটি গ্রামের উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে পানি প্রবাহিত হয়ে আসছে।
শুধুমাত্র ব্যক্তির স্বার্থে ওই স্থানের কালভার্ট টি বালুর বস্তা দিয়ে মুখ আটকে দেয়া হয়। যে কারনে পানি জমে মুরারীকাটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে ফসলি জমি তলিয়ে যায়। যা পরবর্তীতে গ্রামবাসী উক্ত কালভার্টের মুখ উন্মক্তু করে দেয়। এনিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য আমজাদ হোসেন ও নেছার আলী গত ৯আগস্ট দুপুর ১২.৪৭ মিনিটে নিউজ আব কলারোয়া নামক একটি ফেইসবুক পেইজ (অনলাইন পোর্টাল) থেকে অসত্য মানহানিকর সংবাদ সম্মেলন করে।
এবিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর জানান- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২ব্যক্তি আটক করা হয়েছে। তাদের আদালতে সপোর্দ করা হয়েছে। মামলাটি থানার এসআই কেএম রেজাউল করিম তদন্ত করছেন।