রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক হিন্দু পরিবারের মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে নয়াগাঁও তিন নম্বর ঘাট এলাকার একটি বাসার বিছানায় মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিন গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসীম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন ফুল বাসি দাস ও তার ১২ বছরের মেয়ে সুমি চন্দ্র দাস।
বাসাটিতে দুই মেয়ে ও স্বামী স্ত্রী থাকতেন। পুলিশ নিহত ফুল বাসি দাসের স্বামী মুকুন্দ্র চন্দ্র দাস ও বড় মেয়ে ঝুমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তিনি এলাকায় ভ্যানগাড়িতে সবজি বিক্রি করেন।
কামরাঙ্গীচর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মহিতুল আলম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, ভোর চারটার দিকে মুকুন্দের বড় মেয়ে ঘুম থেকে উঠে মা ও বোনকে অস্বাভাবিকভাবে অচেতন পরে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। পরবর্তীতে তার বাবা ও প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখতে পান দুজনই মৃত। পরে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহ বিছানায় পড়ে ছিল। আলামত সংগ্রহের জন্য সিআইডির ক্রাইম সিন এসেছে। তারা আলামত সংগ্রহ করা হলে লাশের সুরতহাল করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুন্দ্র ও তার বড় মেয়ে ঝুমা দাসকে আটক করেছে পুলিশ।