কুয়াকাটা মহিপুরে এক ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর রাখাইন কিশোরীকে মাছের আড়তে আটকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীকে অবরুদ্ধ রাখার ১৯ ঘণ্টা পরে ১৫ মে শুক্রবার রাত নয়টায় উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি অনার্স পড়ুয়া ছাত্র আল-আমিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপরে মহিপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন ওই রাখাইন ছাত্রীর সঙ্গে আগে থেকেই আলআমিনের মোবাইলে যোগাযোগ ছিল। কৌশলে মোবাইলে ধারন করা তথ্য ফাঁসের ভয় দেখিয়ে বৃহস্পতিবার রাত এক টার দিকে রাখাইন ছাত্রীকে আলীপুর বন্দরের একটি মাছের আড়তে আসতে বাধ্য করা হয়। সেখানে রাত আনুমানিক দুইটার দিকে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
রাত পেরিয়ে শুক্রবার দিনভর কৌশলে রাখাইন ছাত্রীকে আড়তে আটকে রাখা হয়। করোনার কারণে খালি আড়তকে বেছে নেয় আল-আমিন। স্থানিয়দের তথ্যের বিত্তিতে পুলিশ খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে ভিক্টিমকে উদ্ধার করে। পরে ভিকটিমের তথ্য বিবরনের ভিত্তিতে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যাবহার করে শুক্রবার রাত এগারোটায় আলীপুর থ্রি পয়েন্ট থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত আল-আমিনকে। আলআমিনের বাড়ি লতাচাপলী ইউনিয়নের নাইয়রীপাড়ার আঃ মন্নান মীরের ছেলে। উদ্ধার হওয়া ভিক্টিমের বাড়ি কালাচান পাড়ায়। সে মহিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।