গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শাকিল মিয়ার বাবা আইয়ুব খানকে পুলিশ আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার (৭ মে) বিকালে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শিশুটি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সদর থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, জন্মের পর শিশুটির বাবা মারা যায়। কয়েক মাস পর তার মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। ফলে এতিম শিশুটি তার দাদি বাড়িতে থেকে প্রতিপালিত হচ্ছিল। গত রবিবার (৫ মে) সন্ধ্যায় তাদের চার্জ দেওয়া টর্চলাইট নিয়ে আসার জন্য প্রতিবেশী আইয়ুব খানের ঘরে যায় ওই ছাত্রীটি। এ সময় ঘরে থাকা আইয়ুব খানের বখাটে ছেলে শাকিল মিয়া শিশুটিকে জাপটে ধরে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। পড়ে ছুরি দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে মর্মে হুমকি দেয়।
শিশুটি বাড়িতে ফিরে সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে দাদির জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ করে। ওই রাতেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলে শিশুটির দাদি রাজি না হওয়ায় শাকিল মিয়ার পরিবার হুমকি ধামকি দিয়ে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখান। পরে অসুস্থ শিশুটিকে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার শিশুটির দাদি বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তাহেরা আক্তার মনি বলেন, মঙ্গলবার শিশুটির মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। কিছু সমস্যার আলামত পাওয়া গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হবার পর অপরাধীকে গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্ত শাকিলের বাবকে আটকের কথাও নিশ্চিত করেন তিনি।