গাজীপুরের শ্রীপুরে এক কিশোরীকে (১২) ধর্ষণ ও বন্ধুর সহায়তায় ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়ানোর অভিযোগে এক কিশোরকে (১৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ১১ মে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (জোহর আলী নগর) এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বুধবার (২৭ মে) শ্রীপুর থানায় মামলা করলে এদিন দুপুরে পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত কিশোররা পরিবারের সঙ্গে কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (জোহর আলী নগর) এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকত।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা জানান, অভিযুক্তরা তার মেয়ের পূর্বপরিচিত। ঘটনার দিন তার মেয়ে মূল অভিযুক্ত কিশোরের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। ওই কিশোর “জরুরি কথা আছে” বলে মেয়েটিকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। তার সহযোগী কিশোর পুরো ঘটনাটি মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করে।
বিষয়টি কাউকে জানালে ভুক্তভোগী হত্যা ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। ভয়ে ওই কিশোরী পরিবারের লোকজনকেও কিছু জানায়নি।
২৬ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি অনলাইনে প্রকাশ করে অভিযুক্ত কিশোররা।
মূল অভিযুক্ত স্থানীয় আলিম মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন জানান, ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে ২৬ মে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বরমী বাজার থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।