নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ছোট ভাইয়ের প্রেমিকাকে (১৪) গণধর্ষণের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী মধ্যপাড়া এলাকা তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১২ অক্টোবর রাতে ব্রাহ্মন্দী সরকারি হাসপাতালের পেছনে পুকুরের পাড়ে জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে। আসামীরা হল, উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী মধ্যপাড়া এলাকার মোতালেবের ছেলে টিউবওয়েল মিস্ত্রী নজরুল ইসলাম (২৫), তার বড় ভাই রিকশা চালক বাদল (৩৭) ও তাদের ফুফাতো ভাই একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে টিউবওয়েল মিস্ত্রী মো. মুছা (২৪)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা পেশায় রিকশা চালক। পড়াশোনার সুবিধার্থে মাদ্রাসার হোস্টেলেই থাকতো ওই শিক্ষাথী। গত ১২ অক্টোবর হোস্টেলে পানির সমস্যা দেখা দিলে ওই ছাত্রী গোসল করতে বাড়িতে যায়। পরে মাদ্রাসায় ফেরার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ওই ছাত্রী বাড়িতে বা মাদ্রাসায় ফিরে যায়নি।

এ সময় মেয়েটির মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিলো না। পরে ১৫ অক্টোবর বিকালে স্থানীয় প্রভাকরদী এলাকা থেকে মোবারক নামে এক ব্যক্তি ফোন করে ভুক্তভোগীর অবস্থান পরিবারকে জানায়।

মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক মাস ধরে নজরুল ইসলাম নামের এক যুককের সঙ্গে তার প্রেম চলছিল।

১২ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে ফোন করে ডেকে ব্রাহ্মন্দী সরকারি হাসপাতালের পেছনে রবীন্দ্র বাবুর পুকুর পাড়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নজরুল। এ সময় নজরুলের বড় ভাই বাদল ও ফুফাতো ভাই মুছা নজরুলকে শাসিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং তারা মেয়েটিকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে একই স্থানে দু‘জনই পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগীর মা জানান, সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে আমার মেয়ে এতদিন বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিল। আমাদেরও জানায়নি। আমার মেয়ের সাথে যারা এ অন্যায় করেছে তাদের সবোর্চ্চ বিচার চাই।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন