শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে বিএনপি ও জামায়াতের আশ্রয়পুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ অব্যাহত থাকে। রাজধানীর ঝোলাপট্টিতে সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘু ২শ’ পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে। কুমিল্লার চান্দিনার চিরাড্ডায় সন্ত্রাসীরা এক সংখ্যালঘু মহিলার শালিনতাহানি করেছে। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এরশাদের জাতীয় পার্টির কর্মীরা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করছে ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। প্রায় সর্বত্রই পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে আমাদের সংবাদদাতারা জানান। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিষদের সভাপতি বিচারপতি কে,এম,সোবহান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এক বিবৃতিতে নির্বাচনোত্তর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের ওপর হামলা, নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ এবং আবহমান বাংলার ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তারা একই সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংষ্কার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দে এক বিবৃতিতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, তাদের সম্পদ লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার দুপুরে নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বার গ্রামে বিএনপির সন্ত্রাসীরা দুয়ারিয়া, হোসেনপুর ও গোপালপুরে শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের কাছে চাঁদা দাবি করেছে।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ৭ অক্টোবর, ২০০১