চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১২ জুলাই সোমবার ভুক্তভোগীর ভাই পটিয়া থানায় একজনকে আসামি করে মামলা করেন। ১০ জুলাই শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের গোয়াতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শনিবার সকালে কলেজে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। কলেজ থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়ার ছনহরা ইউনিয়নের গোয়াতলী এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। শনিবার সকালে ছাত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য পটিয়া যান। সারা দিন ঘোরাফেরার পর রাত ১০টার দিকে ঝোপঝাড়ে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ওই যুবক। একপর্যায়ে ছাত্রী ঝোপঝাড় থেকে বের হয়ে সাবিত্রী আশ্রমের দিকে চলে আসার চেষ্টা করলে আসামি ছাত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে পেটের দুই পাশে আঘাত করে ও মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে পটিয়া থানায় গতকাল রাতে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামিকে ধরতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। আসামিকে ধরার স্বার্থে এখনো তাঁর নাম উল্লেখ করছেন না বলে জানান তিনি।

আজকের পত্রিকা

মন্তব্য করুন